পাসপোর্ট লাগেনা – ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাননা কেন তার সঙ্গে থাকে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী। থাকে মণি মুক্তার মতো বহুমূল্যের রত্ন। এমনকি তার সঙ্গে তার পোষা কুকুর করজিসের জন্যও থাকে বিশেষ খাদ্য। তবে, যে জিনিসটি কখনোই থাকেনা তা হলো পাসপোর্ট। কারণ পৃথিবীর কোথাও কোন সীমান্ত অতিক্রমণে তার পাসপোর্ট লাগেনা।রাণী এলিজাবেথ ছাড়া যে কোন মানুষকেই পৃথিবীর কোন না কোন স্থানে পাসপোর্ট ব্যবহার করতেই হবে। এমনকি সে যদি রাণী ছাড়া ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্য যে কোন সদস্যও হয়। কিন্তু কি এর কারণ?

জানা গেছে, যতো ব্রিটিশ পাসপোর্ট ইস্যু করা তার সবই রাণীর পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ওয়েবসাইটে লেখা আছে, ‘রাণী যখন বিদেশে ভ্রমণ করেন তখন তাঁর কোন পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই। মেরুণ রঙের ব্রিটিশ পাসপোর্টে দুটি রাজকীয় অস্ত্রের প্রতিকৃতি খোদাই করা আছে। আর লেখা আছে যে, ব্রিটেনের মহিমান্বিত রাণীর পক্ষ থেকে পাসপোর্টধারী ব্যক্তিকে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’সুতরাং যেখানে স্বয়ং রাণীই ব্রিটিশ পাসপোর্ট ইস্যু করেন এবং পাসপোর্টধারী ব্যক্তির দায় গ্রহণ করেন সেখানে তার নিজের দায় নিয়ে কারো কোন প্রশ্নই থাকতে পারেনা। তবে, রাণী ছাড়া ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অন্য যে কোন সদস্যকেই বিদেশ ভ্রমণে পাসপোর্ট বহন করতে হবে। এমনকি এটি রাণীর স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গের জন্যও প্রযোজ্য।এছাড়াও একই কারণে পৃথিবীর কোথাও রাণী এলিজাবেথের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও প্রয়োজন নেই। সূত্র: দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট
হৃদস্পন্দন খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা, ৭২ ঘণ্টা পর জেগে উঠলেন তরুণীবন্ধ হয়ে গিয়েছিল হৃদস্পন্দন। নিথর দেহ পড়েছিল হাসপাতালে, প্রায় তিনদিন। তার পর আচমকাই জেগে উঠলেন তরুণী। চীনের পূর্ব ফুজিয়ান প্রদেশে সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী এক সন্তানের মা। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। চীনা সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি বছরের প্রথম দিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। ওইদিন রাত ৮টার দিকে স্ত্রীকে পিঠে বয়ে জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি অনুমোদিত একটি হাসপাতালে হাজির হন তার স্বামী।তড়িঘড়ি শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু শত চেষ্টার পরও ওই তরুণীর হৃদস্পন্দন খুঁজে পায়নি চিকিৎসকরা। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ২০ মিনিট ধরে সিপিআর দেয়া হয়। তাতেও লাভ হয়নি। যার পর এক্সট্রা কর্পোরিয়েল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন (ইসিএমও) প্রযুক্তির সাপোর্ট দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র কাজ না করলেও যন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা যায়।
সেই অবস্থায় তিনদিন থাকলেও, পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়েছিলেন, মারা গিয়েছেন ওই তরুণী। হাসপাতালে পড়ে ছিল তার নিথর দেহ। কিন্তু অল্পবয়সে একজন এভাবে চলে যাবে, তা মেনে নিতে পারেননি হাসপাতালেরই কয়েকজন চিকিৎসক। তাই চেষ্টা ছাড়েননি তারা। অবশেষে তাতেই কাজ দেয়।৭২ ঘণ্টা পর হঠাৎ ওই তরুণীর হৃদযন্ত্র আংশিকভাবে কাজ করতে শুরু করে। তার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কথা বলতে না পারলেও, চোখ খোলেন তিনি। চিকিৎসায় সাড়া দেন। কোনো ধরনের কৃত্রিম সাহায্য ছাড়াই ৭ জানুয়ারি থেকে হৃদস্পন্দন সচল রয়েছে তার।চিকিৎসকরা বলেছেন, এখন আর তুলে খাওয়াতে হচ্ছে না তাকে। তবে শারীরিকভাবে এখনও দুর্বল ওই তরুণী। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হয়েছিল যে মাত্র ২৬ বছর বয়সে এমন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী? হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যাং মিনউই জানিয়েছেন, ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলিয়েশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই তরুণী। এই রোগে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে কাঁপতে শুরু করেছিল হৃদপিণ্ড।পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মাইয়োকারডিটিসও ধরা পড়েছে ওই তরুণীর। এর ফলে সংক্রমণের জেরে হৃদপিণ্ডের পেশিতে জ্বালা ধরে। তা থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আনন্দবাজার।